শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল পরাপারের অপেক্ষায় সহশ্রাধিক যান ॥ অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়

শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল পরাপারের অপেক্ষায় সহশ্রাধিক যান ॥ অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়

 

Brand Bazaar

মোঃ মানিক মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (মুন্সীগঞ্জ)॥

দক্ষিনবঙ্গের অন্যতম প্রবেশ দ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে শুক্রবার মানুষের ঢল নামে। ঘরমুখো হাজার হাজার যাত্রীদের চাপে অতিরিক্ত গাড়ীর কারণে ঘাটে দেখা দেয় বিশাল যানজট। শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাওয়া চৌরাস্তা হয়ে যানজট ছাড়ায়ে যায় প্রায় সাড়ে তিন কি.মি. দূরে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে।

শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল পরাপারের অপেক্ষায় সহশ্রাধিক যান ॥ অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়

এতে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যানজটে নাকাল শিমুলিয়া ঘাট। শত শত গাড়ী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাট থেকে যানজট চলে গেছে সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে। ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী বাসগুলো এসে সেখানে আটকে যাচ্চে। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে যাত্রীরা বাস ফেলে পায়ে হেটে ৩ কি.মি. দূরে ঘাটের দিকে ছুটছে। এতে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-নারী ও বৃদ্ধ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়। এতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢলের চিত্র গতকাল ফুটে উঠেছে শিমুলিয়া ঘাটে। একইভাবে বাসগুলো ঘাটে প্রবেশ করতে দেরী হওয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীদেরও চর দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়। ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীরা বাসের জন্য বাস কাউন্টারেগুলোতে রাইন ধরে ভিড় জমাতে দেখা যায়। কোন একটি বাস ঘাটে আসলেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে বাসে উঠতে। এই সুযোগে বাসমালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকা-মাওয়ার বাস ভাড়া ৭০ টাকার স্থলে দেড় টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। একই অবস্থা ছিল ঢাকার গুলিস্তান বাস কাউন্টারগুলোতে। যাত্রীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তাদের কাছ থেকে ৭০ টাকার বাড়া দেড় শ’ টাকা আদায় করা হয়েছে। যাজটের কারণে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় দেখা যায় সহদ্রাধিক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন।

শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল পরাপারের অপেক্ষায় সহশ্রাধিক যান ॥ অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়

শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, সোমবার বড় দিনের বন্ধ, সেই সঙ্গে রবিবার ঐচ্ছিক ছুটি থাকায় শুক্রবার ৪ দিনে ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে দক্ষিণাঞ্চরের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে। এতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি রুটের শিমুলিয়ায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। শিমুলিয়ায় ঘাটে পারাপারে অপেক্ষায় ছিল সহশ্রাধিক যান। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশী। এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, চারটি রো-রো ফেরিসহ এখন ১৫টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। তবে যানবাহনের চাপ বেশী থাকায় ঘাটে অপেক্ষারত যানের চাপ বাড়ছে। এমনিতেই শুক্রবার ঘাটে চাপ থাকে বেশি। তার উপর টানা চারদিনের ছুটিতে এই ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাল দিতে হিমশি খেতে হচ্ছে। সবাই একটু ধর্য্য ধরলে পারাপার সহজ হতো। আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ছোট ও যাত্রীবাহি গাড়ি পার করছি। ট্রাকগুলো দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। যাত্রীবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ যান পারাপারের পর ট্রাক পার করা হবে। একই রকম ভীড় দেখা যাচ্ছে লঞ্চ ও স্পীডবোট ঘাটেও। মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ সরোজিৎ কুমার ঘোষ জানান, ঘাটে যাত্রী নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সে ব্যাপারে পুলিশ সর্তক রয়েছে। গাড়ির চাপ বেশী থাকায় সত্ত্বেও পরিকল্পিতভাবে যানবাহনগুলো পার্কিং এবং ছোট যানকে প্রাধান্য ও ট্রাকগুলো অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী স্থানে পার্কিং করার কারণে মানুষ বিড়ম্বনাহীন পারাপার হচ্ছে। ঈদে যেমন ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নামে গতকাল শিমুলিয়া ঘাটে সেই রকম যাত্রীর ঢল ছিল।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment